আজকে আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্র (এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্যান্য ক্লাসের) রচনা অংশের "অনুচ্ছেদ লিখ" তে মেট্রোরেল অনুচ্ছেদটি জানব। "অনুচ্ছেদ মেট্রোরেল" সম্পর্কে এই অনুচ্ছেদটি পড়লে যদি পরীক্ষায় আসে, তাহলে আশা করি শিক্ষার্থীরা খুব ভালোভাবেই উত্তর করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ: মেট্রোরেল
মেট্রোরেল একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন রেল পরিবহন ব্যবস্থা যা মূলত পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যস্ত শহরে যাত্রী পরিবহন সহজ ও দ্রুত করার জন্য নির্মিত হয়। এটি মাটির নিচ দিয়ে কিংবা ওপর দিয়ে স্থাপিত হতে পারে। মেট্রোরেলের বিশেষত্ব হলো এটি নির্ধারিত রেলপথে চলে, যেখানে অন্যান্য যানবাহনের সাথে কোনো সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। ফলে যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। মেট্রোরেল পরিবহন ব্যবস্থা সাধারণত বৈদ্যুতিক ট্রেন দ্বারা পরিচালিত হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনক বাংলাদেশের মেট্রোরেল প্রকল্প একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ যা রাজধানী ঢাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। "মেট্রোরেল প্রকল্প" বা "ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্প" হিসেবে পরিচিত এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা। ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম রুটটি এমআরটি লাইন ৬ নামে পরিচিত, যা উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রুটটি কমলাপুর গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটি প্রথম চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের শেষে।
[বিভিন্ন তথ্যাদি ইন্টারনেট থেকে নেয়া। ভুল ত্রুটি থাকলে তা ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ থাকলো।]
আরও পড়ুন:
মেট্রোরেল সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
মূল অনুচ্ছেদের পর আমরা মেট্রোরেল সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য যুক্ত করে দিচ্ছি যাতে করে শিক্ষার্থীরা চাইলে সেখান থেকে তথ্য নিয়ে তাদের অনুচ্ছেদে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া পয়েন্ট আকারে দেয়া তথ্য শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে ভালোভাবে এমনটাও আশা করা যায়। তাহলে আরও কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক মেট্রোরেল সম্পর্কে।
- ২৬ জুন ২০১৬ তারিখে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
- প্রথম দফায় এমআরটি-৬ এর লাইনের দৈর্ঘ্য ছিল ২০.১০ কিলোমিটার
- বর্তমানে এর দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিলোমিটার
- বর্তমানে চালু থাকা মেট্রোরেল চলাচল করে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং এটির শেষ গন্তব্য হবে কমলাপুর রেল স্টেশন যা এখনো নির্মিত হচ্ছে।
- মেট্রোরেলের অর্থায়নের ৭৫% জাইকার এবং বাকিটা বাংলাদেশ সরকারের। জাইকা হচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগীতা সংস্থা।
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে এটি প্রথম উদ্বোধন করা হয়।