আমাদের এই পোস্টটি "ইন্টারনেট ও আজকের বিশ্ব" বিষয়ে। এই লেখাটি মূলত স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যাতে তারা তাদের এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের "প্রবন্ধ রচনা" বা "রচনা লিখ" অংশে ভালো একটি মার্ক তোলার চেষ্টা করতে পারে।
এই প্রশ্নটি যেভাবে আসতে পারে:
- রচনা লিখ: ইন্টারনেট ও আজকের বিশ্ব
- প্রবন্ধ রচনা: ইন্টারনেট এবং আজকের পৃথিবী
- বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের ভূমিকা
- দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট
- ইন্টারনেট ও আজকের বিশ্ব রচনা
- ইন্টারনেট রচনা
- ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন
তাহলে শুরু করা যাক মূল রচনা।
১. ভূমিকা
ইন্টারনেট আধুনিক বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি কেবলমাত্র তথ্য ও যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এর প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরে রয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে মুহূর্তের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এটি শুধু আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকেই নয়, ব্যবসায়িক, শিক্ষাগত এবং অন্যান্য বহু ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
ইন্টারনেটের গুরুত্ব এতটাই বেড়েছে যে এটি আধুনিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রায় সব ধরনের পেশার মানুষ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। অফিস, স্কুল, হাসপাতাল থেকে শুরু করে এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪.৯ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, যা মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশের বেশি।
২. ইন্টারনেটের ইতিহাস
ইন্টারনেটের ইতিহাস বেশ পুরানো এবং এটি সময়ের সাথে সাথে উন্নত ও জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্সের অধীনে আরপানেট (ARPANET) প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৯৬৯ সালে প্রথম আরপানেট সংযোগ স্থাপিত হয়। এই সংযোগের মাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
১৯৮০-এর দশকে টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) আবিষ্কার করেন, যা ইন্টারনেটকে আরও জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করে তোলে। ওয়েব ব্রাউজারের উদ্ভব এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ISP) আবির্ভাবের মাধ্যমে ইন্টারনেট দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে, ইন্টারনেট শুধু একাডেমিক ও গবেষণার সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশকে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এটি তথ্য ও যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে।
৩. যোগাযোগক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রভাব
ইন্টারনেট যোগাযোগক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। আগে যেখানে চিঠি বা টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হতো, সেখানে এখন ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে তা মুহূর্তের মধ্যে করা যায়। ইমেইল এবং ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের মাধ্যমে অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ সহজ এবং সুন্দর হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন ফেসবুক, টুইটার, এবং ইনস্টাগ্রাম বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের যোগাযোগের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
ভিডিও কল এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে সহজেই কথা বলতে পারে, এমনকি দূরবর্তী স্থান থেকেও। জুম, স্কাইপ, এবং গুগল মিটের মত প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন তাদের মতামত, চিন্তা এবং তথ্য শেয়ার করছে। ২০২১ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৭%।
৪. অর্থনীতিতে ইন্টারনেট
ইন্টারনেট অর্থনীতিতে বিপুল পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বব্যাপী ই-কমার্সের বিস্তার, ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসায়ের উদ্ভব, এবং আর্থিক লেনদেনের দ্রুততা ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে ই-কমার্স দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার এবং এটি ২০২৩ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিবাবা, অ্যামাজন, এবং ইবে-এর মতো ই-কমার্স জায়ান্টরা বিশ্বব্যাপী বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে। আমাদের দেশেও আছে দারাজ, মোনার্ক মার্টের মতো প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ফেসবুক মার্কেটপ্লেসও বর্তমানে ই-কমার্সে ভূমিকা রাখছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমানে ব্যাংকিং কার্যক্রম অনেক সহজ হয়েছে। ব্যাংকগুলো NPSB এর মতো সার্ভিস ব্যবহার করে সাথে সাথে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে লেনদেন করতে পারছে। এছাড়া নগদ, সেলফিনের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোও দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
সোর্স: Netblocks.org |
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। Upwork, Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারছেন। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এছাড়া, গ্লোবাল ভ্যালু চেইন এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ইন্টারনেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসার বাজার মূল্য ২০২০ সালে ছিল প্রায় ৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার।
৫. শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট
ইন্টারনেট শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। অনলাইন ক্লাস, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম (যেমন Coursera, Khan Academy, edX) এবং পাঠগৃহ ডট কমের মতো অসংখ্য বিনামূল্যে শিক্ষনীয় বিষয় দেয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই উচ্চমানের শিক্ষা লাভ করতে পারে। ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারির সময়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.২ বিলিয়ন শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে গেছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হতে পারে এবং গ্লোবাল স্কেলের জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্তি এবং ই-লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। বাংলাদেশেও অনলাইন শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করছে এবং শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই উচ্চমানের শিক্ষা লাভ করতে পারছে।
৬. সমাজের উপর ইন্টারনেটের প্রভাব
ইন্টারনেট সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, মতামত বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটার, এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক আন্দোলনগুলোকেও প্রভাবিত করছে।
সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে। #MeToo এবং #BlackLivesMatter আন্দোলনগুলো সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের সচেতনতা বাড়িয়েছে। গণহত্যার বিপক্ষেও ফেসবুক, এক্সের মাধ্যমে যথেষ্ট সচেতনতা ছড়িয়েছে। অনেক সংবাদ যা সংবাদমাধ্যম আমাদের সামনে আনে না, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা আমাদের সামনে আসছে।
৭. নিরাপত্তা এবং সামরিকক্ষেত্রে ইন্টারনেট
নিরাপত্তা এবং সামরিকক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। সাইবার সিকিউরিটি, ড্রোন প্রযুক্তি, এবং তথ্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা ও নজরদারি করে। সাইবার আক্রমণ ও সাইবার যুদ্ধ বর্তমান বিশ্বে একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে, বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার সংখ্যা ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ড্রোন প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট নজরদারির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং শত্রুদের উপর নজরদারি করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং সিমুলেশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
৮. বর্তমান বিশ্বে অগ্রগামীতায় ইন্টারনেটের প্রভাব
বর্তমান বিশ্বের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগামীতায় ইন্টারনেট একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। স্বাস্থ্যসেবায় টেলিমেডিসিন, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি ও সেবা আরও উন্নত হবে এবং অগ্রগতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
রোবোটিক্স এবং অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পে বিপ্লব ঘটছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কাজের খরচ কমছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন সম্ভব হচ্ছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য লেনদেন নিশ্চিত করা হচ্ছে, যা অর্থনীতি এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব এনেছে।
৯. ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিকসমূহ
ইন্টারনেটের কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়ছে, সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ২০২০ সালে, বিশ্বব্যাপী ৪.২ বিলিয়ন মানুষ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারনেট আসক্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
সাইবার বুলিং এবং অনলাইন হয়রানি সমাজে একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও অপব্যবহার একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, অনলাইন জুয়া এবং অন্যান্য আসক্তি মানুষের আর্থিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।
সোর্স: Springer.com |
১০. ইন্টারনেটের ভবিষ্যত কোন দিকে যেতে পারে
ইন্টারনেটের ভবিষ্যত আরও উন্নত এবং সম্প্রসারিত হতে পারে। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি ও সেবা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত রূপ আরও কার্যকর ও নিরাপদ হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোয়ান্টাম ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান আরও নিরাপদ ও দ্রুত হতে পারে। এছাড়া, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও বিস্তৃত হবে। স্মার্ট সিটি এবং স্মার্ট হোমের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। ভবিষ্যতে, ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও ব্যক্তিগতকৃত এবং ইন্টেলিজেন্ট হবে।
১১. উপসংহার
ইন্টারনেট আজকের বিশ্বের এক অমূল্য সম্পদ। এর মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার সন্ধান পাই। যদিও এর কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে, তবে সঠিক ব্যবহার ও সচেতনতার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটকে আরও উপকারী ও নিরাপদ করে তুলতে পারি। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হতে পারি।