"মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর"- শিরোনামে আমাদের এই লেখাটি "স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস" নামক সাবজেক্টের "মহান মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে লেখ" প্রশ্নের উত্তর হিসেবে লেখার উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
উত্তর
১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর, এই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়। এই যুদ্ধই বাংলাদেশী মানুষের মুক্তির যুদ্ধ, তথা মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো। এই ১১টি সেক্টরের মধ্য থেকে যেকোনো দুইটি সেক্টর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
সেক্টর ১
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো তন্মধ্যে ১ নং সেক্টরের পরিসীমা ছিল ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি থেকে ফেনী পর্যন্ত। এই সেক্টরের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুইজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। প্রথম জন মেজর জিয়াউর রহমান যিনি এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ছিলেন এবং এরপর থেকে ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সেক্টরের গুরুত্ব ছিল অনেক। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল হরিণায়। সেক্টর ১ এর অধীনে সাবসেক্টর ছিল ৫টি। সেগুলো হলো:
- রিশিমুখ
- শ্রীনগর
- মানুঘাট
- তাবালছড়ি
- দিমাগিরি
সেক্টর ৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩নং সেক্টর ছিল ঢাকার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে কুমিল্লাকে নিয়ে। এই সেক্টরেও ৯ মাসে ২ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। প্রথমজন মেজর কে এম শফিউল্লাহ যিনি দায়িত্ব পালন করে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ২১ জুলাই ১৯৭১ পর্যন্ত। ২৩ জুলাই এই সেক্টরের দাতিয়্ব দেয়া হয় মেজর এ এন এম নুরুজ্জামানকে। এই সেক্টরের অধীনে সাবসেক্টর ছিল ১০টি। সেগুলো হলো:
- আশ্রমবাড়ি
- বাঘাইবাড়ি
- হাতকাটা
- সিমলা
- পঞ্চবাটি
- মনতালা
- বিজয়নগর
- কালাচ্ছরা
- কলকলিয়া
- বামুতিয়া
৩ নং সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল কলাগাছিতে।
[ইতিহাসভিত্তিক এই তথ্যগুলোতে আমাদের অনিচ্ছাকৃত কোনো ভুল থেকে থাকলে তা
আমাদেরকে দেখিয়ে দেয়ার অনুরোধ থাকলো। পাঠগৃহ নেটওয়ার্কের সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।]
আরও দেখুন:
- ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর
- ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল লিখ
- দ্বিজাতি তত্ত্ব কী? ব্যাখ্যা কর।
সহায়ক লিংক: