এইচএসসির রসায়ন প্রথম পত্রের ৩য় অধ্যায় মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাদি আমরা ধাপে ধাপে কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে দেব। আজ থাকছে ১১-২০ নম্বর প্রশ্নসমূহ।
১১. ডিসপ্রপোরসন বা অসামঞ্জস্য বিক্রিয়া কী?
যে সকল বিক্রিয়ায় কোনো পদার্থের একই সাথে জারণ এবং বিজারণ ঘটে, তাকে ডিসপ্রপোরসন বিক্রিয়া বলে। যেমন ক্ষারের সাথে `Cl_2` এর বিক্রিয়া একটি অসামঞ্জস্য বিক্রিয়া।
১২. হ্যালোজোনসমূহের ভৌত অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
গ্রুপ 17 এর মৌল F, Cl, Br, I হ্যালোজেন। এদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপেক্ষিক আণবিক ভর বৃদ্ধি পায়। তাই ফ্লোরিন থেকে আয়োডিনের দিকে আন্তঃআনবিক ভ্যান্ডার ওয়াল আকর্ষণ শক্তিও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। একারণে কাঠামোর দৃঢ়তাঅ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ভৌত অবস্থার ক্রম পরিবর্তন ঘটে। উদাহারণস্বরূপ বলা যায়, ক্ষুদ্রতম ফ্লোরিন অণুর জন্য ভ্যান্ডারোয়াল আকর্ষণ বল সর্বনিম্ন…
১৩. অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?
d ব্লক মৌলসমূহের মধ্য থেকে যেসব মৌলের সুস্থিত আয়নে d অরবিটাল আংশিক ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।
১৪. জটিল আয়ন কাকে বলে?
একটি ধাতব পরমাণু বা আয়নের সাথে একাধিক ঋণাত্মক আয়ন বা প্রশম অণু সন্নিবেশ বন্ধ দ্বারা যুক্ত হলে যে জটিল কাঠামোর আয়ন তৈরি হয়, তাকে জটিল আয়ন বা জটিল যৌগ বলে।
১৫. লিগান্ড কাকে বলে?
জটিল যৌগে ধাতব পরমাণু বা আয়নকে ঘিরে যেসকল ঋণাত্মক আয়ন বা প্রশম অণু সিন্নিবেশ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাদেরকে লিগান্ড বলে।
১৬. সন্নিবেশ সংখ্যা কাকে বলে?
কোনো জটিল যৌগে কেন্দ্রীয় ধাতব পরমাণু বা আয়নের সাথে সন্নিবেশ বন্ধনের মাধ্যমে যে কয়টী লিগান্ড যুক্ত থাকে সেই সংখ্যাকে সন্নিবেশ সংখ্যা বলা হয়।
১৭. ডায়াম্যাগনেটিক, প্যারাম্যাগনেটিক, ফেরোম্যাগনেটিক ধর্ম কাকে বলে?
ডায়াম্যাগনেটিক: মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে কোন বিজোড় ইলেকট্রন না থাকলে তা চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিকর্ষিত হয়। একে মৌলের ডায়াম্যাগনেটিক ধর্ম বলে। যেমন Zn ডায়াম্যাগনেটিক।
প্যারাম্যাগনেটিক: মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে এক বা একাধিক বিজোড় ইলেকট্রন থাকলে চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা মৌলটি আকৃষ্ট হয়। একে মৌলের প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম বলে। যেমন Ti প্যারাম্যাগনেটিক।
ফেরোম্যাগনেটিক: মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে একাধিক সমমুখী স্পিনের বিজোড় ইলেকট্রনের উপস্থিতির কারণে মৌলটি চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয়। একে মৌলের ফেরোম্যাগনেটিক ধর্ম বলে। যেমন Fe, Co, Ni ফেরোম্যাগনেটিক।
১৮. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কী?
মৌলসমূহের যেসকল ভৌত এবং রাসায়নিক ধর্ম তাদের পারমাণবিক সংখ্যা পরিবর্তনের সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়, তাদেরকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলে। কয়েকটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম হলো গলনাংক, স্ফূটনাংক, পরমাণুর আকার, আয়নীকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা ইত্যাদি।
১৯. সমযোজী বন্ধ কাকে বলে?
নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বুন্যাস অর্জন করতে দুটি অধাতব পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠন করে তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
২০. সিগমা বন্ধন ও পাই বন্ধন কাকে বলে?
সিগমা বন্ধন: দুটি পরমাণুর একই অক্ষে অবস্থিত দুটি অরবিটালের সামনা-সামনি বা মুখোমুখি অধিক্রমন দ্বরা যে বন্ধন সৃষ্টি হয়, তাকে সিগমা বন্ধন বলে।
পাই বন্ধন: দুটি পরমাণুর একই অক্ষে অবস্থিত দুটি অরবিটাল পাশাপাশি অধিক্রমন করলে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে পাই বন্ধন।
প্রশ্ন ১-১০ পর্যন্ত দেখতে পড়ুন: মৌলের পর্যায়বৃত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন গুরুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন ১-১০
গুণগত রসায়ন অধ্যায়ের প্রশ্নের জন্য পড়ুন: গুণগত রসায়ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন PDF
ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার অধ্যায়ের উপর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরসহ PDF পেতে পড়ুন: ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার সৃজনশীল PDF