১. গুণগত রসায়ন কাকে বলে?
রসায়নের যে শাখায় পদার্থের গঠন ও বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন গুণগত দিক আলোচনা করে হয়, তাকেই গুণগত রসায়ন বলে।
২. আলফা কণা কী?
হিলিয়াম পরমানু থেকে দুটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে অবশিষ্ট যা পাওয়া যায় তাই হিলিয়াম নিউক্লিয়াস যার অপর নাম আলফা কণা।
৩. নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী?
কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত মোট প্রোটন এবং নিউট্রনের সংখ্যাকে বলা হয় নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা পারমানবিক ভর।
৪. `He^+` এর ক্ষেত্রে বোর তত্ত্ব কেন প্রযোজ্য?
এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণু হাইড্রোজেনকে বিবেচনায় নিয়ে বোর পরমাণু মডেল বা বোর তত্ত্ব প্রদান করা হয়। `He^+` আয়নে 1টি মাত্র ইলেকট্রন রয়েছে। তাই বোর মডেলের সাহায্যে এর বর্ণালী ব্যাখ্যা করা যায়।
৫. কোয়ান্টাম সংখ্যা কী?
পরমাণুতে একটি ইলেকট্রন কোন শক্তিস্তরে আছে, শক্তিস্তরটি বৃত্তাকার না কি উপবৃত্তাকার এবং শক্তিস্তরের ইলেকটন নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘড়ির কাটার দিকে আবর্তন করছে না কি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এসব বিষয় প্রকাশের জন্য যে কয়েকটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়, তাদেরকেই কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।
৬. 2d, 3f অরবিটালগুলো কেন সম্ভব নয়? ব্যাখ্যা কর।
2d অরবিটাল অসম্ভব। কারণ n=2 এর জন্য l এর মান 0 এবং 1 যারা 2s এবং 2p অরবিটালকে বুঝায়। যেহেতু l=2 পাওয়া যাবে না n=2 এর জন্য, সেহেতু, 2d অরবিটালও সম্ভব হবে না।
3f অরবিটালের ক্ষেত্রেও n=2 এর জন্য l=0, 1, 2 পাওয়া যায় যা s, d এবং d অরবিটালকে বুঝায়। যেহেতু l=3 পাওয়া যায় না, তাই 3f অরবিটালও সম্ভব না।
৭. 4f অরবিটালের সম্ভাব্যতা যাচাই কর।
4f এর n=4 এর জন্য l=0, 1, 2, 3 পাওয়া যায়। যেহেতু l=3 পাওয়া যায় যা f অরবিটাল প্রকাশ করে তা এখানে বিদ্যমান, তাই 4f অরবিটালের অস্তিত্ব আছে।
৮. অরবিট কাকে বলে?
পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট শক্তি বিশিষ্ট প্রধান কক্ষপথে ইলেকট্রন আবর্তন করে তাদেরকে অরবিট বলে।
৯. অরবিটাল কাকে বলে?
নিউক্লিয়াসের চারদিকে ত্রিমাত্রিক যে অঞ্চলে ইলেকট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে সেই অঞ্চলকে অরবিটাল বলে।
১০. নোড ও লোব কাকে বলে?
এর উত্তরের জন্য পড়ুন: অরবিট, অরবিটাল, নোড ও লোব।
১১. পলির বর্জন নীতি বিবৃত কর এবং ব্যাখ্যা কর।
একই পরমাণুতে যে কোনো দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনোই এক হতে পারেনা।
অর্থাৎ, কোনো একটি পরমাণুতে অবস্থানরত দুটি ইলেকট্রনের তিনটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান এক হলেও চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যা অবশ্যই ভিন্ন হবে। যেমন হিলিয়াম পরমাণুর দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান নিম্নরূপ।
প্রথম ইলেকট্রন: n=1, l=0, m=0, s=+1/2
দ্বিতীয় ইলেকট্রন: n=1, l=0, m=0, s=-1/2
১২. আউফবাউ নীতি লিখ?/আউফবাউ নীতিটি কী?
পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে যায় এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির অরবিটালে প্রবেশ করে। শক্তির মাত্রার ক্রমের একাংশ হলো: 1s<2s<2p<3s<3p<4s<3d<4p<5s<4d
১৩. পটাশিয়ামের ১৯তম ইলেকট্রন 3d উপস্তরে না গিয়ে 4s উপস্তরে যায় কেন?
আউফবাউ নীতি অনুসারে পটাশিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস দেখা যাক।
K(19) - `1s^2 2s^2 2p^6 3s^2 3p^6 3d^0 4s^1`
এখানে দেখা যাচ্ছে ১৯ তম ইলেকট্রনটি 3d উপশক্তিস্তর আগে থাকলেও সেখানে না গিয়ে 4s উপশক্তিস্তরে গিয়েছে। এজন্য অরবিটালের শক্তি দায়ী। আউফবাউ নীতি থেকে আমরা জানতে পারি ইলেকট্রন প্রথমে কম শক্তি সম্পন্ন অরবিটালে প্রবেশ করে। 3d এবং 4s এর শক্তির তুলনা করা যাক।
3d অরবিটালের ক্ষেত্রে, n=3, l=2
অর্থাৎ, শক্তি (n+l) = (3+2) =5
4s অরবিটালের ক্ষেত্রে, n=4, l=0
অর্থাৎ, শক্তি (n+l) = (4+0) = 4
যেহেতু 3d অরবিটালের চেয়ে 4s অরবিটালের শক্তি কম, তাই ইলেকট্রন আগে 4s অরবিটালে প্রবেশ করেছে।
১৪. 3d এবং 4p অরবিটালের মধ্যে কোনটিতে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে?
আমরা জানি, যে অরবিটালের শক্তি কম, ইলেকট্রন আগে সেই অরবিটালে প্রবেশ করে। এখন,
3d অরবিটালের ক্ষেত্রে, n=3, l=2
অর্থাৎ, শক্তি (n+l) = (3+2) =5
4s অরবিটালের ক্ষেত্রে, n=4, l=1
অর্থাৎ, শক্তি (n+l) = (4+1) = 5
যেহেতু এক্ষেত্রে দুটি অরবিটালেরই শক্তি সমান, তাই এক্ষেত্রে n এর মান যার কম, ইলেকট্রন সেখানে আগে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে 3d তে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে।
১৫. হুন্ডের নীতি বিবৃত কর।
সমান শক্তি সম্পন্ন বিভিন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তারা সর্বাধিক সংখ্যা অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে এবং এ বিজোড় ইলেকট্রনগুলোর স্পিন হবে একমুখী।
১৬. কপার (Cu) এবং ক্রোমিয়াম (Cr) এর ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?
Cu ও Cr এর ইলেকট্রন বিন্যাস দেখা যাক,
Cu (24) - `1s^2 2s^2 2p^6 3s^2 3p^6 3d^5 4s^1`
Cr (29) - `1s^2 2s^2 2p^6 3s^2 3p^6 3d^10 4s^1`
এখানে দেখা যাচ্ছে যে কপার এবং ক্রোমিয়ামের 4s উপশক্তিস্তর পূর্ণ না করেই 3d উপশক্তিস্তরে প্রবেশ করেছে ইলেকট্রন। এর কারণ হচ্ছে, সমশক্তি সম্পন্ন অরবিটালসমূহ ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ বা অর্ধপূর্ণ অবস্থায় বেশি পরিমাণে স্থিতিশীলতা অর্জন করে। এই কারণে এদের ইলেকট্রন বিন্যাসে ব্যাতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। এখানে কপারের ক্ষেত্রে 3d অরবিটালে 5 টি ইলেকট্রন আছে এবং 4s এ 1টি। দুটি অরবিটালই এখানে অর্ধপূর্ণ অবস্থায় আছে। `3d^4 4s^2` তে একটি অরবিটাল পূর্ণ হলেও অন্যটি পূর্ণ বা অর্ধপূর্ণ কোনোটিই না। এর থেকে দুটিই অর্ধপূর্ণ থাকলে তা বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। অন্যদিকে ক্রোমিয়ামের ক্ষেত্রেও একটি পূর্ণ এবং অন্যটি অর্ধপূর্ণ থাকায় অধিক স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। এজন্য Cu এবং Cr এর ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম হয়।
১৭. দৃশ্যমান আলো কী?
যে আলোক বিকিরণ কোনো বস্তুর ওপর পড়লে বস্তুটি দেখা যায়, তাকে দৃশ্যমান আলো বলে। এটি সমগ্র তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের সামান্য অংশ। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 380 থেকে 780 nm।
১৮. বর্ণালী কী?
বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তথা বিভিন্ন বর্ণের আলোক রশ্মির সমাহারই বর্ণালী।
১৯. হাইড্রোজেন পরমাণুতে একটি ইলেকট্রন থাকা সত্ত্বেও হাইড্রোজেন বর্ণালীতে বিভিন্ন রেখা পাওয়া যায় কেন?
হাইড্রোজেন অণু উচ্চ শক্তির প্রভাবে হাইড্রোজেন পরমাণুতে পরিণত হয়। অসংখ্য হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন ভিন্ন পরিমাণের শক্তি শোষণ করে। ফলে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন উচ্চতর শক্তিস্তরে উন্নীত হয়। এই উচ্চশক্তি সম্পন্ন শক্তিস্তরগুলোকে উত্তেজিত স্তর বলা হয়। উচ্চ শক্তি স্তরে ইলেকট্রনগুলো স্থিতিশীল থাকে না। শক্তির উৎস সরিয়ে নিলেই ইলেকট্রনগুলো বিভিন্ন উচ্চ শক্তিস্থ থেকে শক্তি বিকিরণ করে নিম্ন শক্তিস্তরগুলোতে ফিরে আসে। এই ফিরে আসার সময় হাইড্রোজেনের অসংখ্য পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের শক্তি বিকিরণ করে বিভিন্ন বর্ণালী সৃষ্টি করে। একারণেই হাইড্রোজেন বর্ণালীতে বিভিন্ন রেখা পাওয়া যায়।
২০. প্রতিপ্রভ পদার্থ বা ফ্লোরোসেন্স পদার্থ কী?
যে সকল পদার্থ UV অঞ্চলের 200-375 nm তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বর্ণালী শোষণ করে কিন্তু 400-780 nm তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দৃশ্যমান বর্ণালী বিকিরণ করে সে সকল পদার্থকে ফ্লোরোসেন্স পদার্থ বা প্রতিপ্রভ পদার্থ বলা হয়।
২১. অণুপ্রভা কাকে বলে?
UV রশ্মি পরমাণু কর্তৃক শোষিত হয় এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দৃশ্যমান রশ্মি নিঃসরণ ঘটার যে ঘটনা তাকে অনুপ্রভা বলে।
২২. UV রশ্মি কী? UV রশ্মির একটি ব্যবহার লেখ।
দৃশ্যমান বেগুনী রশ্মির চেয়ে শক্তিশালী বিকিরণকে অতিবেগুনী রশ্মি বা UV রশ্মি বলে। UV রশ্মির অনেক ব্যবহারের মধ্যে একটি ব্যবহার হলো জাল টাকা চিহ্নিত করা।
২৩. শিখা পরীক্ষা কী?
একটি পরিষ্কার প্লাটিনাম তার গাঢ় HCl এ ভিজিয়ে নমুনা লবণ তাতে লাগিয়ে বুনসেন বার্নারের জারণ শিখায় উত্তপ্ত করলে বিভিন্ন ধাতুর জন্য বৈশিষ্ট্যমূলক বর্ণ সৃষ্টি হয় যার সাহায্যে লবণে ধাতব আয়নের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়। এই পরীক্ষাকেই শিখা পরীক্ষা বলে।
২৪. শিখা পরীক্ষায় গাঢ় HCl ব্যবহার করা হয় কেন?
ধাতব লবণসমূহ আয়নিক। ফলে এগুলো সাধারণত অনুদ্বায়ী। শিখা পরীক্ষায় গাঢ় HCl ব্যবহার করা হয় ওই ধাতব লবণের ক্লোরাইড তৈরির জন্য।
`CaCO_3 + HCl`(গাঢ়) = `CaCl_2 + H_2O + CO_2`
২৫. তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলতে কী বুঝ?
পর পর দুটি তরঙ্গ খাদ বা তরঙ্গ শীর্ষের মধ্যকার দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।
২৬. কম্পাঙ্ক কাকে বলে?
একক সময়ে যতগুলো পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন হয়, তাকে কম্পাঙ্ক বলে। এর একক হার্টজ (Hz)।
২৭. দ্রাবতার সজ্ঞা লিখ।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 100 g দ্রাবককে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করতে কোনো দ্রবের সর্বোচ্চ যত গ্রাম দ্রবীভূত করতে হয়, তাকে ওই দ্রবের দ্রাব্যতা বলে।
২৮. দ্রাব্যতা গুণফল বা `K_(sp)` কী?
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন অল্প দ্রবণীয় লবণের সম্পৃক্ত দ্রবণে উপস্থিত উপাদান আয়নসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুণফলকে দ্রাব্যতা গুণফল বলে। দ্রাব্যতা সবধরনের পদার্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও দ্রাব্যতার গুণফল শুধু স্বল্প দ্রবণিয় তড়িৎ বিশ্লেষ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
২৯. আয়নিক গুনফল বা `K_(ip)` কাকে বলে?
সম্পৃক্ত, অসম্পৃক্ত যে কোনো ধরনের দ্রবণে উপস্থিত উপাদান আয়নসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুনফলকে আয়নিক গুনফল বলা হয়।
৩০. দ্রাব্যতা গুনফল এবং আয়নিক গুনফলের ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্কের জন্য দ্রবণটি কেমন হবে?
যদি দ্রাব্যতা গুনফল এবং আয়নিক গুনফল সমান হয়, তবে এটি সম্পৃক্ত দ্রবণ হবে। যদি আয়ণিক গুনফল বেশি হয় তাহলে অধঃক্ষেপ পড়বে এবং যদি দ্রাব্যতা গুনফল বেশি হয়, তাহলে দ্রবণটি অসম্পৃক্ত দ্রবণ এবং এখানে অধঃক্ষেপ পড়বে না।
৩১. 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় `KNO_3` এর দ্রাব্যতা 31.6 বলতে কী বুঝ?
25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় `KNO_3` এর দ্রাব্যতা 31.6 বলতে বুঝায় 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় 100 g পানিতে `KNO_3` এর সম্পৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুত করতে 31.6 g `KNO_3` প্রয়োজন হয়।
৩২. নেসলার দ্রবণ কাকে বলে?
ক্ষারীয় পটাশিয়াম টেট্রাআয়োডো মারকিউরেট দ্রবণকেই নেসলার দ্রবণ বলা হয়ে থাকে।
৩৩. পাতন কী?
যে পদ্ধতিতে কোনো তরলকে উত্তাপে বাষ্পীভূত করে ওই বাষ্পকে শীতল ও ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ তরলে পরিণত করা হয়, তাকে পাতন বলে।
৩৪. পাতনের শর্ত কী কী?
পাতনের শর্ত দুটি। এগুলো হলো:
ক) স্ফূটনাঙ্কে বিয়োজিত হবে না।
খ) মিশণে উপাদান সমূহের স্ফূটনাঙ্কের পার্থক্য 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের থেকে বেশি হবে।
৩৫. আংশিক পাতন কাকে বলে?
দুই বা ততোধিক তরলের মিশ্রণ থেকে প্রতিটি উপাদান তরলকে স্ফূটনাংকের পার্থক্যের ভিত্তিতে অংশ অংশ করে পৃথক করার পদ্ধতিকে আংশিক পাতন বলে।
৩৬. আংশিক পাতনের শর্তগুলো লেখ।
আংশিক পাতনের শর্তগুলো হলো:
ক) মিশ্রণটি তরল-তরল দ্রবণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
খ) মিশ্রণের উপাদানসমূহ স্ফূটনাংক তাপমাত্রায় অবিয়োজিত থাকবে,
গ) মিশ্রণের উপাদানসমূহের স্ফূটনাংকের পার্থক্য 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হতে হবে।
৩৭. নিম্নচাপ পাতন বা অনুপ্রেষ পাতন কী?
নিজস্ব উচ্চ স্ফূটনাংকে বিয়োজন প্রবণ কোনো তরল পদার্থকে নিম্নচাপে অপেক্ষাকৃত নিম্ন তাপমাত্রায় পাতিত করে মিশ্রন থেকে পৃথক করার পদ্ধতিকে নিম্নচাপ বা অনুপ্রেষ পাতন বলা হয়।
৩৮. দ্রাবক নিষ্কাশন কী?
কোনো জৈব যৌগকে জলীয় দ্রবণ বা অন্য কোনো জৈব দ্রাবকের দ্রবোন হতে উপযুক্ত দ্রাবক যোগে পৃথক করার পদ্ধতির নাম দ্রাবক নিষ্কাশন।
৩৯. কোমাটোগ্রাফি কাকে বলে?
যে পদ্ধতিতে কোনো রাসায়নিক মিশ্রণকে একটি স্থির মাধ্যমে রেখে অপর একটি সচল মাধ্যমকে স্থির মাধ্যমের সংস্পর্শে প্রবাহিত করে মিশ্রণের উপাদানগুলোকে অধিশোষণমাত্রা, দ্রাব্যতা বা বন্টন সহগের ভিত্তিতে পৃথক করা হয়, তাকে ক্রোমাটোগ্রাফি বলে।
৪০. `R_f` এর মান 1 চেয়ে কম কেন?
পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি বা TLC তে দ্রব এবং দ্রাবকের আপেক্ষিক গতিবেগকে `R_f` দ্বারা প্রকাশ করা হয়। দ্রাবক কর্তৃক অতিক্রান্ত দূরত্ব এবং মিশ্রণে কোনো একটি উপাদান কর্তৃক অতিক্রান্ত দূরত্বের অনুপাতই এটি। মিশ্রণের বিভিন্ন উপাদান কর্তৃক কাগজে বা TLC প্লেটে অতিক্রান্ত দূরত্ব দ্রাবক কর্তৃক অতিক্রান্ত দূরত্ব অপেক্ষা কম হওয়ার এর মান সবসময় 1 এর চেয়ে কম হয়। কারণ বড় সংখ্যা দিয়ে ছোট সংখ্যাকে ভাগ করলে তা 1 এর চেয়ে কমই হবে।