এতক্ষণ ধরে যা পড়েছেন, তার পুরোটাই ব্যাটার শচীনকে নিয়ে। শচীনকে নিয়ে কথা বলতে গেলে ব্যাটার শচীনকে নিয়েই বলতে হবে, ক্রিকেট ইতিহাসের মহানায়কদের একজন শচীন হয়েছেন ব্যাটিং দিয়েই, বোলিং দিয়ে না। শচীনকে অলরাউন্ডার বলাও হবে না, তবুও শচীন বল ঘুরাতো দলের প্রয়োজনে, ক্যাপ্টেনের ডাকে; পার্ট টাইমারের দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করেছেন শচীন।
শচীনের খেলা ২০০ টেস্টের ১৪৫ ইনিংসেই বল করেছেন সে, মোটামুটি অর্ধেক বলা যায়। এই ১৪৫ ইনিংসে ৭০৬.৪ ওভার বল করে ৩.৫২ ইকোনোমি, ৫৪.১৭ গড় আর ৯২.১ স্ট্রাইক রেটে উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। এক ইনিংসে শচীন সর্বোচ্চ বল করেছেন ৩৪ ওভার। মে ২০০২-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই ইনিংসে ৩৪ ওভার বল করে ২ উইকেট নেন শচীন। এক ইনিংসে শচীনের সর্বোচ্চ শিকার ৩ উইকেট, ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে এবং পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ায়। এ দুটি ইনিংসে শচীন বল করেছেন ৫ ওভার আর ১১ ওভার।
একদিনের ক্রিকেটে শচীন ম্যাচ খেলেছেন ৪৬৩টি, বল করেছেন ২৭০ ইনিংসে। তবে ক্রিকেটের এই ফরমেটে শচীনের নামের পাশে আছে ২টি ৫ উইকেট আর ৪টি ৪ উইকেট শিকারের কীর্তি। ৫ উইকেট দুটি অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের কচিতে। ৪ উইকেট আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই ফরমেটে শচীনের সেরা বোলিং ফিগার ৫/৩২, মোট উইকেট ১৫৪, গড় ৪৪.৪৮, স্ট্রাইক রেট ৫২.২ আর ইকোনোমিটা ৫.১০।
বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই ফরমেটে শচীনের সেরা বোলিং ফিগার ৫/৩২, মোট উইকেট ১৫৪, গড় ৪৪.৪৮, স্ট্রাইক রেট ৫২.২ আর ইকোনোমিটা ৫.১০।
শচীনের খেলা একমাত্র আন্তর্জাতিক টি২০ তেও বল করেছিলেন শচীন। অজিত আগারকারের ইনজুরিতে তার রেখে যাওয়া ওভারের ৩ বলসহ আরও ২ ওভার বল করেন তিনি। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্পকে ২২ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।
সব ধরনের টি২০তে সব মিলিয়ে শচীন বল করেছেন ৯৩ বল, উইকেট দুটি। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে শচীনের উইকেট সংখ্যা ৭১ আর লিস্ট-এ তে সংখ্যাটা ২০১।