Palestine Flag We support Palestine — Standing for justice, freedom, and human rights.

ওহমের সূত্র ও সহজে মনে রাখার ট্রিক্স

আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে থাকেন তবে ওহমের সূত্র আপনার কাছে পরিচিত হওয়ার কথা। ইলেকট্রনিক্স নিয়ে পড়ালেখা করতে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে ওমের সূত্র সম্পর্কে জানতে হবে।এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জটিল হিসাব-নিকাশ খুব সহজে করতে পারা যায়। এ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকলে আমরা কোন একটি সার্কিট কিভাবে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারব।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি পরীক্ষা সকল ক্ষেত্রে এই অংশ থেকে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষা ক্ষেত্র অনেক সময় এর থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওহমের সূত্র

ওহমের সূত্র

ওহমের সূত্রটি হল: "তাপমাত্রায় স্থির থাকলে কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্যদিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা পরিবাহী দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।" অর্থাৎ স্থির তাপমাত্রায় কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক হবে।

যদি কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V হয় এবং স্থির তাপমাত্রায় পরিবাহীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I হয় তবে ওমের সূত্র অনুসারে সমীকরণটি দাঁড়াবে: I ∝ V

ওহমের সূত্র থেকে ব্যবহার্য সূত্র প্রস্তুত

ওমের সূত্র থেকে আমরা পেয়েছি যদি পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V হয় এবং স্থির তাপমাত্রায় পরিবাহীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I হয় তবে I ∝ V

পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা G একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক। অর্থাৎ এটিকে আমরা I ∝ V এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে দাঁড়াবে, I = GV

পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা G এর বিপরীত রাশি হচ্ছে রোধ। অর্থাৎ রোধ R = (1/G) কে উপরের সমীকরণে বসালে আমরা পাই, I = (V/R)

অর্থাৎ ওহমের সূত্র দিয়ে বিভিন্ন সমীকরণ সমাধানের ক্ষেত্রে এবং সার্কিটের তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন হিসাব করতে মূলত I = (V/R) বা V = IR সূত্রটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ওমের সূত্র নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। নিম্নে আমরা ওমের সূত্র থেকে যেসকল বিষয় নির্ণয় করা যেতে পারে তা তুলে ধরছি।

তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয়ের সূত্র

ওহমের সূত্র অনুসারে তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয়ের সূত্রটি হল I = (V/R) যেখানে কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V, প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I এবং রোধ R ধরা হয়। অর্থাৎ তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয়ের সূত্রটি হল, তড়িৎ প্রবাহ = বিভব পার্থক্য / রোধ

বিভব পার্থক্য নির্ণয়ের সূত্র

ওহমের সূত্র অনুসারে বিভব পার্থক্য নির্ণয়ের সূত্রটি হল V = IR যেখানে কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V, প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I এবং রোধ R ধরা হয়। অর্থাৎ বিভব পার্থক্য নির্ণয়ের সূত্রটি হল, বিভব পার্থক্য = তড়িৎ প্রবাহ × রোধ

রোধ নির্ণয়ের সূত্র

ওহমের সূত্র অনুসারে রোধ নির্ণয়ের সূত্রটি হল R = (V/I) যেখানে কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V, প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I এবং রোধ R ধরা হয়। অর্থাৎ বিভব পার্থক্য নির্ণয়ের সূত্রটি হল, রোধ = বিভব পার্থক্য / তড়িৎ প্রবাহ

আরো পড়ুন: ভালো সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের দাম ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ওহমের সূত্র মনে রাখার উপায়

একটি সাধারন ও বহুল প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা ওহমের সূত্রটিকে মনে রাখতে পারব। যেকোনো সময় রোধ, তড়িৎ পরিবাহিতা অথবা বিভব পার্থক্যের আলাদা আলাদা সূত্রগুলোকে মনে করতে পারব। পরীক্ষার হলে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে আমরা খুব সহজে সূত্রগুলোকে মনে করতে পারে এবং এর জন্য আমাদেরকে বারবার সমীকরণ গুলোকে তৈরি করতে হবে না। আবার মুখস্ত করতে হবে না।

ওহমের সূত্র সহজে মনে রাখার ট্রিক্স

এখানে একটি ত্রিভুজ দেখতে পাচ্ছি যেটির উপর অংশে রয়েছে বিভব পার্থক্য এবং নিচের অংশে রয়েছে কারেন্ট বা তড়িৎ প্রবাহ এবং রেজিস্টেন্স তথা রোধ। ধরুন আমরা যখন ভোল্টেজ বা বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে যাবো সেই মুহূর্তে উপরে V বাদ দিলে বাকি থাকে I ও R যারা পাশাপাশি আছে। যেহেতু I ও R পাশাপাশি আছে সেহেতু গুন হবে। অর্থাৎ আমরা চিত্র থেকে পাই, V = IR

আবার একইভাবে আমরা যদি I নির্ণয় করতে চাই তবে চিত্র থেকে I বাদ দিলে বাকি থাকে V ও R এবং এক্ষেত্রে উপরে রয়েছে V এবং নিচে রয়েছে R এর মানে V ভাগ R হবে। অর্থাৎ চিত্র থেকে পাই, I = (V/R)

শেষে একইভাবে আমরা যদি R নির্ণয় করতে চাই তবে চিত্র থেকে R বাদ দিলে বাকি থাকে V ও I এবং এক্ষেত্রে উপরে রয়েছে V এবং নিচে রয়েছে I এর মানে V ভাগ I হবে। অর্থাৎ চিত্র থেকে পাই, R = (V/I)

এভাবে আমরা খুব সহজে ওমের সূত্র মনে রাখতে পারব এবং এতে আসলে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে সেটা বুঝতে পারবো। যারা আমরা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করছি তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। আর এই টপিকটি ভালো করে অনুশীলন করা করলে পরবর্তীতে বিভিন্ন বড় হিসাব করতে সুবিধা হবে। এছাড়াও ইউনিভার্সিটিতে যদি আপনি ইলেকট্রনিক্স অথবা তড়িৎ বিষয়ক বিষয়গুলো পড়তে যান তবে এটি আপনাকে প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺