ফ্যারাডের সূত্র (ফ্যারাডের তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের সূত্রাবলি)

বিজ্ঞানী ফ্যারাডে ১৮৩১ সালে তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের দুটি সূত্র আবিষ্কার করেন যেগুলোকে ফ্যারাডের তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের সূত্র বলে। আজ আমরা এ সূত্র দুটি জানব এবং এর ব্যখ্যা জানব। ফ্যারাডের তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের সূত্রের ব্যাখ্যার জন্য আমরা ড. আমির হোসেন খান, প্রফেসর মোহাম্মদ ইস্‌হাক এবং ড. মো. নজরুল ইসলাম স্যারে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইয়ের সহযোগিতা নিয়েছি।

ফ্যারাডের সূত্র (ফ্যারাডের তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের সূত্রাবলি)

ফ্যারাডের প্রথম সূত্র

যখন কোনো বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক বলরেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্স এর পরিবর্তন ঘটে, তখনই উক্ত কুণ্ডলীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।

ব্যাখ্যা

একটি দন্ড চুম্বক এবং একটি বদ্ধ গৌণ তার কুণ্ডলীর মধ্যে আপেক্ষিত গতি থাকলে অথবা একটি গৌণ কুণ্ডলীর মধ্যে একটি তড়িৎবাহী তার কুণ্ডলী রেখে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার পরিবর্তন করলে গৌণ কুণ্ডলীর সাথে জড়িত চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে এবং এর ফলে গৌণ কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে তার কুণ্ডলীতে সংযুক্ত চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার সংখ্যার পরিবর্তন না হলে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহও উৎপন্ন হয় না।

ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্র

তার কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তির মান সময়ের সাথে কুণ্ডলী দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্স এর পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।

গাণিতিক রূপ

ফ্যারাদের দ্বিতীয় সূত্রের গাণিতিক রূপ দেন নিউম্যান (Newmann)। এর গাণিতিক রূপটি হলো,
`E=\frac{d\varphi}{dt}`
যেখানে,
`d\varphi` হলো `dt` সময়ে ফ্লাক্সের পরিবর্তন।

যদি এই কুণ্ডলীতে N সংখ্যক পাক থাকে তবে সূত্রটির প্রকাশ হবে নিম্নরূপ:
`E=\frac{d(N\varphi)}{dt}=N\frac{d\varphi}{dt}`
Md. Rabiul Mollah

Okay! So here I'm Md. Rabiul Mollah from Pathgriho Network. I'm currently a student of B.Sc in Textile Engineering Management at Bangladesh University of Textiles. facebook instagram github twitter linkedin

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺