ভাগ বিষয়ক লেখাপড়া মূলত দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে আমাদের শেখানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাই ঠিক কিভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। BCS, চাকরির পরীক্ষায় এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাতে ভাগ বিষয়ক বেশ কিছু প্রশ্ন অনেক সময় আসতে দেখা যায়। সহজ সে সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেক সময় করতে পারি না এর মূল কারণ এ বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘাটাঘাটি না করা। ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাধারন গুন-ভাগের নিয়ম ভুলে যাই।
(ads1)
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে আপনার ভাজক, ভাগফল এবং ভাগশেষ দ্বারা ভাজ্য নির্ণয় করতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে উদাহরণ এবং সচিত্র বর্ণনা যাতে করে আমরা খুব সহজে ভাজ্য নির্ণয় করার এই পদ্ধতিকে বুঝতে পারি এবং যেকোনো ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং ভাজ্য নির্ণয়ের করতে পারি।
ভাজ্য কাকে বলে?
যে সংখ্যাকে ভাগ করা হয়ে থাকে তাকে ভাজ্য বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ভাগফল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে সংখ্যাকে ভাগ করা হয়ে থাকে তাকে ভাজ্য বলে। কোন সংখ্যাকে ভাজ্য বলা হয় যখন ঐ সংখ্যাকে অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়ে থাকে অর্থাৎ সেই সংখ্যার একটি ভাজক থাকে।
যেমন ধরুন, ১০ কে আমরা যদি ২ দ্বারা ভাগ করি তবে ভাগফল দাঁড়ায় ৫ অর্থাৎ এখানে ১০ হচ্ছে ভাজ্য, ৫ হচ্ছে ভাগফল আর ২ হচ্ছে ভাজক। উপরের চিত্রে আমরা কিভাবে ভাগ করা হয়েছে সেটা দেখতে পাচ্ছি এবং কোন অংশকে কি বলা হয় সেটা দেখতে পাই।
(ads1)
ভাজ্য নির্ণয় করার সূত্র
সূত্র প্রয়োগ এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে যে কোন ভাজ্য নির্ণয় করতে পারবো। তবে এর জন্য আমাদেরকে ভাজক, ভাগফল এবং কিছু ক্ষেত্রে ভাগশেষ জানা থাকার প্রয়োজন হবে। নিম্নে আমরা ভাজ্য নির্ণয় করার সূত্র গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। নির্ণয় করার সূত্র দুটি সূত্র রয়েছে।
নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র: ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল
নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র: ভাজ্য = (ভাজক × ভাগফল) + ভাগশেষ
ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্রের বাস্তব প্রমান
এই অংশে আমরা ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্রের বাস্তব প্রমান দেখব। ধরুন আমাদেরকে একটি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটি হচ্ছে ১০ এবং ১০ কে আমারা 2 দিয়ে ভাগ করি তবে ভাগফল অবশ্যই ৫ আসবে। এখানে ১০ হচ্ছে ভাজ্য, ৫ হচ্ছে ভাগফল আর ২ হচ্ছে ভাজক।
(ads1)
নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র: ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল
অর্থাৎ, ভাজ্য = ২ × ৫ = ১০
সুতরাং, সূত্রটি সঠিকভাবে কাজ করছে।
আবার ধরুন আমাদেরকে একটি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটি হচ্ছে ১৬ এবং ১৬ কে আমারা ৩ দিয়ে ভাগ করি তবে ভাগফল অবশ্যই ৫ আসবে আর ভাগশেষ থাকবে ১। এখানে ১৬ হচ্ছে ভাজ্য, ৫ হচ্ছে ভাগফল আর ৩ হচ্ছে ভাজক আর ১ হচ্ছে ভাগশেষ।
(ads1)
নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র: ভাজ্য = (ভাজক × ভাগফল) + ভাগশেষ
অর্থাৎ, ভাজ্য = (৩ × ৫) + ১ = ১৫ + ১ = ১৬
সুতরাং, সূত্রটি সঠিকভাবে কাজ করছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে এই সূত্রটি অনেক সাহায্য করবে। এছাড়া গণিতের অনেক সাধারণ থেকে উচ্চতর সমস্যাগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে এই সূত্রগুলো সাহায্য করে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই সূত্রটি সম্পর্কে ধারণা থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পরুন: ভাজক নির্ণয়ের সূত্র
এরকম আরো তথ্যবহুল লেখা পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে আমরা প্রতিনিয়ত এরকম তথ্যবহুল লেখা প্রকাশ করে থাকি যেগুলো আপনার জ্ঞানের পরিধিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।