দ্বিগু সমাস কাকে বলে?
তৎপুরুষ জাতীয় যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণের সাথে বিশেষ্য জাতীয় উত্তরপদের সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। এই সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়। দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসেরও অন্তভূক্ত মনে করা হয়। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, "সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে থাকিয়া যে কর্মধারয় সমাস তদ্ধিতের অর্থ বা সমাহার বুঝায় তাহাকে দ্বিগু সমাস বলে।"
দ্বিগু সমাস সহজে চেনার উপায়
দ্বিগু সমাস সমাহার বা যোগফল বুঝিয়ে থাকে। যেমন, তিন ভুজের সমাহার - ত্রিভুজ, পঞ্চ বটের সমাহার - পঞ্চবটী। এই সমাস সহজে চিনতে হলে দুটি বিষয় খেয়াল রাখলেই হবে।
১. এটি অনেকগুলোর সমাহার বুঝায়।
২. প্রধান পদটি সংখ্যাবাচক এবং পরপদটি বিশেষ্য হয়।
ব্যাসবাক্যসহ দ্বিগু সমাসের উদাহারণ
- চতুষ্পদী = চার পদের সমাহার
- চৌমাথা = চৌ (চার) মাথার সমাহার
- তেপান্তর = তিন প্রান্তরের সমাহার
- তেমাথা = তে (তিন) মাথার সমাহার
- তেরোনদী = তেরো নদীর সমাহার
- ত্রিফলা = ত্রি (তিন) ফলের সমাহার
- ত্রিলোক = তিন লোকের সমাহার
- পঞ্চনদ = পঞ্চ নদের সমাহার
- পসুরি = পাঁচ সেরের সমাহার
- শতাব্দি = শত অব্দের সমাহার
- সপ্তডিঙা = সপ্ত ডিঙার সমাহার
- সপ্তাহ = শত অহের সমাহার
- সপ্তর্ষী = স্পত ঋষির সমাহার
- সেতার = তিন তারের সমাহার
দ্বিগু সমাসের এই কয়েকটি উদাহারণ অনুশীলন করাই যথেষ্ট হবে বলে আশা করি।
দ্বন্দ্ব সমাস সম্পর্কে জানতে পড়ুন: দ্বন্দ্ব সমাস: কী, সহজে চেনার উপায়, ব্যাসবাক্যসহ উদাহারণ।