এ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ
- উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার প্রজনন
- কৃত্রিম প্রজনন
গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন বা 'ক' নং প্রশ্ন
১. ত্রিমিলন মি?
একটি পুংগেমিটের সাথে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের মিলনই ত্রিমিলন।
২. সংকরায়ন কি?
একাধিক ভিন্ন জিনগত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদের মধ্যে কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটিয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যেত একটি নতুন জাত তৈরির প্রক্রিয়াই হলো সংকরায়ন।
৩. দ্বি-নিষেক কি?
একই সময়ে একটি ডিম্বানুর সাথে একটি পুংগ্যামিটের মিলন ও সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াসের সাথে অপর পুংগ্যামিটের মিলন প্রক্রিয়াই দ্বি-নিষেক।
৪. সস্য কি?
সস্য হলো একটি ট্রিপ্লয়েড এন্ডোস্পার্ম যা সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস ও শুক্রাণুর মিলনের ফলে তৈরি হয়।
৫. সিনারজিড কি?
ভ্রূণ থলিতে থাকা ডিম্বানুর দুপাশের নিউক্লিয়াস দুটিই হলো সিরানজিড।
৬. ক্রসিং কি?
নির্বাচিত প্রজনকে পরাগরেণু ইমাস্কুলেশনকৃত ফুলের গর্ভমুন্ডে প্রতিস্থাপনই হলো ক্রসিং।
৭. ইমাস্কুলেশন কি?
পরাগ বিসরণের আগে ফুলের পুংকেশর অপসারনের প্রক্রিয়াকেই ইমাস্কুলেশন বলে।
৮. বৃতি কাকে বলে?
গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবণমূলক প্রশ্ন বা 'খ' নং প্রশ্ন
১. হাইব্রিডাইজেশন বলতে কি বুঝ?
ভিন্ন জিনগত বৈশিষ্ট্যের দুই বা ততোধিক উদ্ভিদের মধ্যে কৃত্রিম পরাগায়ন ঘটিয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যের নতুন জাত উদ্ভাবনের পদ্ধতিকে বলা হয় হাইব্রিডাইজেশন। উদ্ভিদ স্বপ্রজননের ক্ষেত্রে এটি একটু বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। নিশ্চিত পরাগায়নের উদ্দেশ্যে এবং উন্নত জাত সৃষ্টির লক্ষ্যেই জীবের মধ্যে হাইব্রিডাইজেশন ঘটানো হয়। বর্তমানে অনেক জাতই এভাবে তৈরি করা হয়েছে।
২. পার্থেনোকার্পির গুরুত্ব আলোচনা করো।
- এ পদ্ধতিতে নিষেকের প্রয়োজন হয় না।
- প্রজাতিকে বন্ধ্যাত্ব থেকে রক্ষা করে।
- এ প্রক্রিয়া জীবগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রকরণবিহীন করে ও সাদৃশ্য বজায় রাখে।
- জীবের মিউট্যান্ট বৈশিষ্ট্যকে স্থানান্তরে ও বিকাশে সহায়তা করে।
- পার্থেনোকার্পিক উদ্ভিদের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি সীমিত এবং জীবনকাল স্বল্পমেয়াদী।
৩. অপুংজনি বলতে কি বুঝায়?
নিষেকবিহীন অবস্থায় ডিম্বানু থেকে ভ্রূণ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অপুংজনি বলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ডিম্বানু নিষেক ছাড়াই সরাসরি বীজ উৎপন্ন করে থাকে। মৌমাছি, বোলতা, তামাক, তিতবেগুন ইত্যাদিতে এমন জনন পরিলক্ষিত হয়।
৪. উদ্ভিদে নিষেকের গুরুত্ব কি কি?
জীবজগতে নিষেক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে বীজ ও ফল উৎপন্ন হয়। বীজের সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকাংশ পুষ্পক উদ্ভিদ বংশবিস্তার করে। নিষেক না থাকলে উদ্ভিদ সমূহ হ্যাপ্লয়েড থেকে পুনরায় ডিপ্লয়েড অবস্থায় ফিরে আসতে পারতো না। অন্যদিকে উদ্ভিদের ফল ও বীজ থেকে প্রাণিরা অনেকাংশেই খাবার সংগ্রহ করে। নিষেক না হলে জীবজগতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতো। তাই নিষেকের গুরুত্ব অপরিসীম।
৫. পরাগনালির প্রবৃদ্ধি কিভাবে ঘটে?
পরাগায়নের ফলে পরাগরেণু স্ত্রীকেশরের গর্ভমুন্ডে পতিত হয় এবং অঙ্গকুরিত হয়। অর্থাৎ ইনটাইন বৃদ্ধি পেয়ে জনন ছিদ্র দিয়ে নালিকার মতো বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে পেকটিনেজ নামক এনজাইমের কারণে টিস্যু বিগলনের মধ্য দিয়ে নালিপথ সৃষ্টি হয়। গর্ভাশয়ের অন্তঃত্বক, অমরা ও ডিম্বক নিঃসৃত বিভিন্ন পদার্থ পরাগনালির এই ধরনের একমুখী বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের সৃজনশীল অংশের উপর এইচএসসি ২০২১ এবং ২০২২ এর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠগৃহ নেটওয়ার্ক নিয়ে এসেছে ৫৪ পৃষ্ঠার ই-বুক "শর্ট সিলেবাসের বেস্ট সাজেশন" সিরিজের প্রথম ই-বুকটি। ই-বুকটি সংগ্রহ করতে Collect E-Book এ ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন বা 'গ' এবং 'ঘ' নং প্রশ্ন।
- ডিম্বাণু সৃষ্টির ধাপ বর্ণনা
- ডিম্বকের বিভিন্ন কোষের নিষেকের পরের পরিণতি
- পরাগরেণু থেকে পুংগ্যামিট তৈরি
- নিষেক প্রক্রিয়ার চিহ্নিত চিত্র
- স্ত্রীগ্যামিটোফাইটের গঠন ও বিকাশ
- নিষেকের তাৎপর্য/নিষেকের পরে সংগঠিত পরিবর্তনের তাৎপর্য
- ফল ও বীজ সৃষ্টিতে স্ত্রীগ্যামিটোফাইট ও পুংগ্যামিটোফাইটের গুরুত্ব বিশ্লেষণ
- বীজহীন ফল উৎপাদন প্রক্রিয়া
- কৃত্রিম সংকরায়ন প্রক্রিয়া
অনুশীলনের জন্য দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন
১. যৌন জনন ও কৃত্রিম প্রজনন উদ্ভিদ প্রজননের দুটি পদ্ধতি।
ক) প্রোথ্যালাস কি?
খ) বাডিং বলতে কি বুঝ?
গ) কৃষিতে কৃত্রিম প্রজনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্ভিদের ক্ষেত্রে যৌন জনন প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর।
-পাবনা ক্যাডেট কলেজ
২. শ্রেণি ক: আম, জাম, কাঁঠাল
শ্রেণি খ: আদা, গোলাপ, পেঁয়াজ
ক) হাইডাথোড কি?
খ) ইমাস্কুলেশন ব্যাখ্যা কর।
গ) শ্রেণি খ-এর প্রজনন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ) শ্রেণি ক-তে সংগঠিত নিষেকের তাৎপর্য লিখ
এই ফাইলটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
- প্রথম অধ্যায়: কোষ ও এর গঠন
- দ্বিতীয় অধ্যায়: কোষ বিভাজন
- তৃতীয় অধ্যায়: কোষ রসায়ন
- চতুর্থ অধ্যায়: অনুজীব
- পঞ্চম অধ্যায়: শৈবাল ও ছত্রাক
- সপ্তম অধ্যায়: নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ
- অষ্টম অধ্যায়: টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র
- নবম অধ্যায়: উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব