সংখ্যা পদ্ধতির ক্ষেত্রে ডেসিমেল, বাইনারি, অক্টাল, হেক্সাডেসিমেল অন্যতম। আমাদের দেওয়ার নিম্নের টুলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে বাইনারি, ডেসিমেল, অক্টাল, হেক্সাডেসিমেল নাম্বার কনভার্ট করতে পারবেন। ডেসিমাল, বাইনারি, অক্টাল, হেক্সাডেসিমেল কনভার্টার টুল:
যারা কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়ালেখা করছেন অথবা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংখ্যা পদ্ধতির অধ্যায়টিকে (HSC ICT 3rd chapter, Number System) পড়ছেন তাদের জন্য সংখ্যা পদ্ধতির পরিবর্তন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিম্নে এই সংখ্যা পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
বাইনারি সংখ্যা হচ্ছে কম্পিউটার বুঝতে পারে এমন একটি সংখ্যা পদ্ধতি। এই সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 2 অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতিতে শুধুমাত্র দুটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যেগুলো হচ্ছে 0 এবং 1 এই দুটি সংখ্যা। কম্পিউটার মূলত 0 এবং 1 কে বুঝতে পারে না। কম্পিউটার শুধুমাত্র বুঝতে পারে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল বা ইলেকট্রিকাল পালস। মূলত এর মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করে থাকে এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। মূলত বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটারের বেসিক কাজগুলো করার জন্য অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।
ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি
এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ সংখ্যাগুলো ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এ সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০ টি অংক ব্যবহার করা তাই এর বেস ১০। একজন মানুষ এই সংখ্যা পদ্ধতি খুব ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন। আমরা সাধারণত যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি তা মুলত ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ সংখ্যাগুলো ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এ সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮ টি অংক ব্যবহার করা তাই এর বেস ৮। এ সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮, ৯ এর কোন ব্যবহার নেই। আধুনিক কম্পিউটারে এই সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়।
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ সংখ্যাগুলো ও A, B, C, D, E, F অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এ সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ টি অংক ব্যবহার করা তাই এর বেস ১৬। সুপারকম্পিউটার, মেইনফ্রেম কম্পিউটারে এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।
এই হচ্ছে সংখ্যাপদ্ধতি বিষয়ক সকল তথ্য। আরো কিছু আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।