এই অধ্যায়ের টপিক সমূহ
- ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য, গঠন ও গুরুত্ব
- ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাসের সচিত্র জীবন চক্র
- ভাইরাসজনিত রোগ
- ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিভাগ
- ব্যাকটেরিয়ার গুরুত্ব
- ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
অনুজীব অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. মেসোজোম কি?
কোষঝিল্লির কোন কোন স্থানে ভেতরের দিকে ভাজ হয়ে গঠিত থলির মতো অংশগুলোই মেসোজোম।
২. প্যাথোজেন কাকে বলে?
যেসব আণুবীক্ষণিক জীব মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীর রোগ সৃষ্টি করে থাকে সেগুলোকে প্যাথোজেন বলে।
৩. ভিরিয়ন কি?
নিউক্লিক অ্যাসিড ও একে ঘিরে অবস্থিত ক্যাপসিড সমন্বয়ে গঠিত একটি সংক্রমণক্ষম সম্পূর্ণ ভাইরাস কণাই হলো ভিরিয়ন
৪. ব্যাকটেরিওফায কি?
যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে তাকে ব্যাকটেরিওফায বলে।
৫. স্পেরোজয়েট কী?
ম্যালেরিয়া জীবাণুর যে হ্যাপ্লয়েড দশা মশকীর দেহে স্পোরোগনির ফলে সৃষ্টি হয় এবং মানবদেহে প্রবেশের মাধ্যমে মানবদেহকে আক্রমণ করে, সেই দশাই হলো স্পোরোজয়েট।
৬. প্রিয়ন কি?
ভাইরাসের সংক্রামক প্রোটিন আবরণকেই প্রিয়ন বলে।
৭. ভাইরাস কাকে বলে?
ভাইরাস হলো নিউক্লিক অ্যাসিড এবং প্রোটিন দিয়ে গিঠিত অকোষীয়, আণুবিক্ষণিক, বাধ্যতামূলক পরজীবী জৈবকণা যা জীবদেহের অভ্যন্তরে সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
৮. জনুঃক্রম কি?
যেকোনো জীবের জীবনচক্র সম্পন্ন করতে গ্যামিটোফাইটিক (n) পর্যায়ের সাথে স্পেরোফাইটিক (2n) পর্যায়ের যে পালাক্রম ঘটে, তাকে জনুঃক্রম বলা হয়।
৯. অনুজীব কারা বা কী?
যেসব জীবকে খালি চোখে দেখা যায় না, অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা দেখা যায়, তাদেরকে অনুজীব বলে।
অনুজীব অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. DNA ভাইরাস এবং RNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
ক) DNA ভাইরাস সাধারণত গোলাকার, ব্যাঙ্গাচি আকার ও পাউরুটি আকৃতির হয়ে থাকে। অন্যদিকে RNA ভাইরাস সাধারণত দন্ডাকার বা সূত্রাকার।
খ) DNA ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিড কোর DNA, এবং RNA ভাইরাসের RNA।
গ) ব্যাকটেরিওফাজ এবং বেশিরভাগ প্রাণি ভাইরাস DNA ভাইরাসের উদাহারণ। অন্যদিকে সায়ানোফাজ এবং বেশিরভাগ উদ্ভিদ ভাইরাস RNA ভাইরাস।
ঘ) DNA ভাইরাস দ্বিসূত্রক এবং RNA ভাইরাস একসূত্রক।
২. Plasmodium এর জীবনচক্রে জনুঃক্রম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
যেকোনো জীবের জীবনচক্র সম্পন্ন করতে গ্যামিটোফাইটিক (n) পর্যায়ের সাথে স্পেরোফাইটিক (2n) পর্যায়ের যে পালাক্রম ঘটে, তাকে জনুঃক্রম বলা হয়। Plasmodium এর জীবনচক্রেও জনুঃক্রম হয়, এবং এই প্রক্রিয়ায় সে বাঁচে থাকে। এটি না ঘটলে অনুজীবটি টিকে থাকতে পারতো না।
৩. নিউক্লয়েড বলতে কি বুঝ?
ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিয়াস শুধু ক্রোমাটিন পদার্থ নিয়ে গঠিত। একটি গোলাকার দ্বিসূত্রী DNA অনু সাইটোপ্লাজমে অবস্থান করে । এটি ক্রোমোসোমের মতো ভূমিকা পালন করলেও এতে হিস্টোন প্রোটিন থাকে না। এমনকি, নিউক্লিওপর্দা এবং নিউক্লিওলাস সমন্বিত সুসংগঠিত নিউক্লিয়াসও থাকে না। এমন নিউক্লিয়ার বস্তুকে বলা হয়ে থাকে নিউক্লয়েড।
৪. ভাইরাসকে জীব ও জড়ের সেতুবন্ধন বলা হয় কেন?
ভাইরাস অতি আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রাসায়নিক বস্তু যা প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড দিয়ে গঠিত। ভাইরাস সাধারণ অবস্থায় জড় পদার্থের ন্যায় আচরণ করে। কিন্তু যখন কোনো প্রাণের সংস্পর্ষে আসে তখন তাঁর মধ্যেও প্রাণের সঞ্চার ঘটে, বংশবৃদ্ধি করতে পারে, প্রকরণ সৃষ্টি করতে পারে। আবার যেহেতু সজীব কোষের বাইরে ভাইরাস কোনো জৈবিক কার্যকলাপ ঘটাতে পারে না, তাই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের সেতুবন্ধন বলা হয়।
৫. মেরোজাইগোট (মেরোজয়েট) বলতে কি বুঝ?
ব্যাকটেরিয়ার যৌন জননের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেরোজাইগোট। ব্যাকটেরিয়ার যৌন জননে দাতা কোষের আংশিক ক্রমোসোম নিয়ে গ্রহীতা কোষ যে জাইগোট তৈরি করে, তাকে মেরোজাইগোট বা মেরোজয়েট বলে। এটি দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় পুনঃরায় সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায়। এ প্রক্রিয়ায় দাতা কোষ ক্রোমোজোম হারিয়ে নষ্ট হয়ে যায়, ফলে সংখ্যা বৃদ্ধির বদলে সংখ্যা আরও হ্রাস পায়।
৬. হেমোজেরিক ডেঙ্গু বলতে কি বুঝ?
হেমোজোরিক ডেঙ্গু হলো সাধারণ ডেঙ্গুর জটিল রূপ। এতে রোগীর দাঁতের মাড়ি, নাক, মুখ ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। রক্ত বমি হতে পারে, মূত্রের সাথে রক্ত যেতে পারে, রক্তে প্লাটিলেট হ্রাস পায় এবং জমাট বাধতে পারে না।
এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমূহ নিম্মরূপ
১. মানব কল্যাণে ভাইরাস।
২. মানব কল্যাণে ব্যাকটেরিয়া
৩. T2 ব্যাকটেরিওফাজ সর্বদাই অন্যের সহযোগিতায় বংশবিস্তারে সক্ষম- ব্যখ্যা কর।
৪. T2 ব্যাকটেরিওফাজের গঠন, চিহ্নিত চিত্র।
৫. ব্যাকটেরিয়া, T2 ফাজ দ্বারা আক্রান্ত হলে ধ্বংস হতেও পারে আবার নাও হতে পারে- ব্যাখ্যা কর।
৬. ব্যাকটেরিয়ার গঠন, সংখ্যাবৃদ্ধির প্রক্রিয়া, চিহ্নিত চিত্র (আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার)।
৭. ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?
৮. পেঁপের রিংস্পট এবং ধানের লিফ ব্লাইট
৯. ম্যালেরিয়া
১০. ডেঙ্গু
১১. ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা।
অনুশীলনের জন্য তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিচে দেয়া হলো
১. নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত এক ধরনের অনুজীব আছে যারা জড় মাধ্যমে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে না পারলেও পোষক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্ষে আসলে একটি চক্রের মাধ্যমে সরাসরি পোষককে ধ্বংস করে। আবার এক ধরনের মশকীর মাধ্যমে মাকু আকৃতির একটি অনুজীব মানবদেহে প্রবেশ করলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
ক) যক্ষ্মা রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীবের বৈজ্ঞানিক না কি?
খ) ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে যৌন জনন অকার্যকর কেন?
গ) উদ্দীপকের প্রথম চক্রটি বর্ণনা কর।
ঘ) উদ্দীপকের শেষোক্ত অনুজীবটি হ্যাপ্লয়েড দশা সম্পন্ন করে ডিপ্লয়েড হয়ে মশকীর ক্রপে ভেদ করে।
- নটর ডেম কলেজ, ময়মনসিংহ, ২০১৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করো।
আরও দেখুন:
- প্রথম অধ্যায়: কোষ ও এর গঠন
- দ্বিতীয় অধ্যায়: কোষ বিভাজন
- তৃতীয় অধ্যায়: কোষ রসায়ন