সেরা গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার (কোন সফটওয়্যার কেন প্রয়োজন?)

সারাবিশ্বে আজ গ্রাফিক্স এর চাহিদা অনেক বেশি। সবকিছুতেই গ্রাফিক্স ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় বড় চলচ্চিত্র তৈরি করার জন্য আজ গ্রাফিক্স-এর ব্যবহার চোখে পরার মতো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখাটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করতে চান এবং নিজের ভবিষ্যৎকে গড়ে তুলতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু জিনিস মাথায় রেখেই এগুতে হবে। 

  • প্রথমত, আপনাকে বেশ কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
  • এরপর আপনাকে ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। 
  • পরবর্তীতে আপনাকে ধারণা নিতে হবে কিভাবে আপনি অন্যদের কাছে নিজের ধারণাটাকে তুলে ধরতে পারবেন ও সব বিষয়গুলো খুব ভালো করে বুঝাতে পারবেন।

সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলার আগেই আমাদেরকে শুরুতে জানতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে কোন কোন সেক্টর রয়েছে এবং কোন কোন বিষয় নিয়ে আমরা মূলত কাজ করতে পারি।

সেরা গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার (কোন সফটওয়্যার কেন প্রয়োজন?)


আপনি ফটো ম্যানেজ করতে পারেন আবার বিভিন্ন ভেক্টর গ্রাফিক্স তৈরি করতে পারি। আবার একইভাবে আমরা থ্রিডি মডেলও তৈরি করতে পারি ।অন্যদিকে আমরা এর মাধ্যমে মাধ্যমে ভালো চলচ্চিত্রও তৈরি করতে পারি যেখানে আমাদেরকে কালার বিল্ডিং নিয়ে কাজ করতে হতে পারে। আপনার উপরই নির্ভর করবে আপনি কোন বিষয়টা শিখতে চাচ্ছেন এবং কোন বিষয়ের জন্য আপনার কোন সফটওয়্যার বা কি কি জিনিস শিখতে হবে সেটা নির্ভর করবে। 

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শুরু করতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণরূপে ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে। ডিজাইনিং কি? কিভাবে কাজ করে? এবং কিভাবে আপনি আপনার আইডিয়া তুলে ধরতে পারেন?- এই সবগুলো সম্পর্কেই ধারণা লাভ করতে হবে আপনাকে। 

ধরুন, আপনি আপনার কোন একটি ছবিকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছেন এবং সেই ছবিটার মধ্যে আপনি বেশ কিছু তথ্য দিতে চাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সেই তথ্য কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শুরু করার বেশ কিছু সময় পরে আপনি খুব সহজেই এই ধারণাগুলো পেয়ে যাবেন অথবা আপনি বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারেন যেগুলোতে ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার যদি ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা নাও থাকে এবং আপনি যদি এটা চান যে অন্যরা বলে দিবে সেই অনুযায়ী কাজ করবেন তবে অবশ্যই আপনি শুরুতেই এসব সম্পর্কে না জেনে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে, আপনি যদি একজন ভাল মানের ডিজাইনার হতে চান এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে নিজেকে অনেক ভালো করে গড়ে তুলতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে, ডিজাইনিং এর বেসিক সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে।


আপনি যদি শুধুমাত্র ফটো নিয়ে কাজ করতে চান, তবে অবশ্যই আপনি ফটোশপ এবং ডিম এই দুটো সফটওয়্যার সম্পর্কে আগে ধারণা লাভ করুন। ফটোশপ মূলত আপনাকে একটি ছবির বিভিন্ন কাজ বা মডিফিকেশন করার জন্য সাহায্য করে থাকবে।  ছবিতে বিভিন্ন নতুন জিনিস যুক্ত করতে পারবেন, ছবি থেকে কোন জিনিস কেটে আলাদা করে ফেলতে পারবেন, ছবিকে আপনি চাইলে অনেক ভালো করে গড়ে তুলতে পারবেন। ছবিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট করতে পারবেন এবং ছবির রং পরিবর্তন করতে পারবেন। 

আপনার যদি ফটোশপ কেনার মতো টাকা না থাকে, তবে অবশ্যই আপনি জিআইএমপি ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি ফটোশপের মতনই কাজ করে থাকে। এর বিশেষত্ব হচ্ছে এটি সম্পূর্ন ফ্রি এবং আপনি খুব সহজেই এটাকে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার হওয়ার কারণে খুব সহজেই আপনি এটি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। আরেকটি সুবিধা হচ্ছে , এই সফটওয়ারের মাধ্যমে আপনি সবগুলো কাজই করতে পারবেন যেগুলো আপনি ফটোশপে করতে পারেন সুতরাং আপনার যদি ফটোশপ না থাকে তবুও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন। 

আপনি যদি কোন লোগো তৈরী করতে চান  তবে অবশ্যই আপনি ইলাস্ট্রেটর শিখতে হবে আপনাকে। লগো, ব্যানার, পোস্টার এসব খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে। ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কিত ফ্রিতে বাংলায় কোর্স করতে ক্লিক করুন এখানে। 


আপনি যদি 3D নিয়ে কাজ করতে চান, তবে অবশ্যই আপনি ব্যবহার করতে পারেন অটোক্যাডের মতো সফটওয়্যারগুলোকে। এই সফটওয়্যারগুলো আপনাকে সাহায্য করবে কোন একটি 3D গ্রাফিক্স তৈরি করার জন্য। অটোক্যাড সম্পর্কিত বাংলায় অনলাইন কোর্স করতে ক্লিক করুন এখানে


থ্রিডি গ্রাফিক্সের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনারা সরাসরি কম্পিউটারের মাধ্যমে থ্রিডি ইমেজ তৈরী করে সেটাকে থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বাস্তবে রূপদান করতে পারবেন এবং থ্রিডি টেকনোলজি এতদূর এগিয়ে যাচ্ছে যে ধীরে ধীরে আমরা থ্রিডি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে এমন অনেক কাজ করতে পারছি যেটা আগে করতে পারতাম না। থ্রিডি গ্রাফিক্সের জন্য আপনাকে অটোক্যাডের মতো সফটওয়্যার গুলোকে জানতে হবে। এরমধ্যে ব্লেন্ডার সম্পূর্ণ ফ্রি।

এডোবি আফটার ইফেক্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কাজ করতে পারি যেটা আসলে আমরা 2D এনিমেশন, 3D অ্যানিমেশন এবং সাধারন ধরনের কোন ছবিতে অ্যাড করতে হয় সেই ক্ষেত্রে আমরা এডোবি আফটার ইফেক্ট দিয়ে তা করতে পারি। 

শুরুতে এ বিষয়গুলো আমাদের কাছে অনেক কঠিন মনে হলেও ধীরে ধীরে আমরা যখন পুরো জিনিসটাকে শিখতে থাকবো, একসময় এই সফটওয়্যার গুলো আমাদের কাছে সহজ হয়ে যাবে। সে পর্যন্ত আপনাকে শিখে যেতে হবে।

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺