এইচএসসি উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রের জন্য যোগজীকরণ ও অন্তরীকরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই দুটো অধ্যায় আমাদের জন্যে অনেক প্রয়োজনীয় কারণ পরবর্তীতে যখন তোমরা ইউনিভার্সিটি লেভেলে যাবে তখন তোমাদের এই জিনিসটা অনেক বেশি প্রয়োজন হবে।
আর তুমি যদি কম্পিউটার সাইন্স অথবা গণিত বিভাগে পড়তে চাও তো সেই ক্ষেত্রে কিন্তু তোমাদের জন্য এই অধ্যায়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে এই পুরো দুটো অধ্যায়ই আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
যোগজীকরণ ও অন্তরীকরণ করতে যা লাগবে
যোগজীকরণ অন্তরীকরণ করতে গেলে আমাদের সবথেকে আগে যে জিনিসটা প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে সূত্র। সূত্র ছাড়া আমরা কখনই যোগজীকরণ বা অন্তরীকরণ করতে পারবোনা। এছাড়াও আমরা যখন পরবর্তীতে আরও অনেক ধরনের অংক করতে যাবো তো সেই ক্ষেত্রে দেখা যাবে যোগজীকরণ ও অন্তরীকরণের সূত্র গুলো আমাদের অনেক ভালোভাবে জানতে হবে।
সুত্র মুখস্ত করার ট্রিকস
সুত্র মুখস্ত করার ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু দিক বিবেচনা করতে হবে। যেমন প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে কিভাবে আমরা ত্রিকোণমিতির সূত্র গুলোকে মনে রাখতে পারি। কারণ ত্রিকোণমিতি যোগজীকরণ এবং অন্তরীকরণের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ত্রিকোণমিতির সূত্র গুলো কিন্তু আগে আমাদেরকে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আমরা যখন ত্রিকোণমিতির সূত্র গুলোকে খুব ভালো ভাবে জানব এবং ত্রিকোণমিতির অধ্যায়গুলোকে শেষ করতে পারবো তখন কিন্তু খুব সহজেই যোগজীকরণ এবং অন্তরীকরণ শুরু করতে পারব।
সূত্র মুখস্থ এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেমন অনেক ক্ষেত্রে যোগজীকরণের যে সূত্র আমরা ব্যবহার করি তা অন্তরীকরণের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করলে মিলে যায়। এজন্য আমাদেরকে প্রতিটা ক্ষেত্রেই সূত্রগুলোকে ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে এবং কি কি পরিবর্তন ঘটেছে সেটাকে মনে রাখলে খুব সহজে তা ভালোভাবে মনে রাখতে পারব। এর ফলে পরীক্ষার হলে বা যেকোনো সময় আমরা যখন অংক গুলো করতে যাব সে সময় আমরা খুব সহজে বুঝতে পারবো কিভাবে অংকটা করতে হবে।
যোগজীকরণ এবং অন্তরীকরণ শুরু থেকে আমাদের সবার কাছে অনেকটা কঠিন মনে হয়। এর কারন পুরো কনসেপ্টটা আসলে নতুন এবং এর আগে আমরা এই ধরনের অংক কখনো দেখিনি এবং এটা কিভাবে কাজ করে সেটাও কিন্তু আমরা জানতাম না। তো সেই ক্ষেত্রে আমাদের সবার প্রথমে শুরু করা উচিত অন্তরীকরণ দিয়ে। প্রথমদিকে সূত্রগুলোকে দিয়ে খুব ভালোভাবে অঙ্কগুলো করার চেষ্টা করতে হবে। এর ফলে যেটা হবে যে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারব যে সূত্রগুলো কোথায় কাজে লাগানো হচ্ছে আর যখন আমরা বড় ধরনের অংক গুলো করতে যাবো তখন বেসিক সূত্রগুলো সাহায্য করবে।
পিডিএফ ডাউনলোড
সূত্রগুলোকে মুখস্থ করার জন্যে আমরা নিচে একটি পিডিএফ দিয়ে দিয়েছি। এখানে আমরা গুগল ড্রাইভের লিংক দিয়ে দিয়েছি যাতে করে তোমরা খুব সহজেই এটাকে ডাউনলোড করে নিতে পারো এবং খুব ভালভাবে প্র্যাকটিস করতে পারো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তোবা তোমাদের কাছে লেখাগুলো বুঝতে একটু কষ্ট হতে পারে যদিও অনেক পরিষ্কার আছে তবুও বুঝতে সমস্যা হলে নিজেদের বই খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। এতে করে তোমাদের আরো ভালো প্র্যাকটিস হবে। আশা করি PDF টি তোমাদের অনেক সাহায্য করবে।
আমাদের পুরো ওয়েবসাইটা ঘুরে দেখো। হয়তো তোমার জন্য প্রয়োজনীয় আরো অনেক সূত্র বা এই ধরনের আরো পিডিএফ খুঁজে পেতে পারো। যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে তুমি তোমার লেখাপড়াকে আরো সহজ করে তুলতে পারবে। সুতরাং পুরো ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।