শচীন রমেশ: এক ক্রিকেট সাম্রাজ্য
ক্যাটাগরি: ই-বুক
লেখক: মোঃ রবিউল মোল্লা
প্রকাশক: পাঠগৃহ নেটওয়ার্ক
প্রথম প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রুফ রিডিং: মো. রুমান মোড়ল
প্রচ্ছদ ও ডিজাইন: মোঃ রবিউল মোল্লা
মূল্য: ফ্রি (লেখকের পক্ষ থেকে উপহার)
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯০
সাইজ: ২.৭ মেগাবাইট
শচীন রমেশ: এক ক্রিকেট সাম্রাজ্য এর Google Drive Link
সূচিপত্র
১২. বিশ্বকাপে শচীন
১৩. টি২০ এবং শচীন
১৪. শততম শতকের গল্প
১৮. বোলার শচীন
ভূমিকা
ক্রিকেট! এই উপমহাদেশের মানুষের কাছে এটি শুধু একটি খেলা নয়, এর থেকেও বেশি কিছু একটা। উপমহাদেশের ধনির দুলাল থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত সবাই ক্রিকেট দেখে, কোনো একটি দলকে সমর্থন করে, কোনো একজন-দুজন ক্রিকেটারকে অন্যরকমভাবে ভালোবাসে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুস্তাফিজদের ভালোবাসে, তাদের সব কিছুই অনুসরণ করে, তাদের নিয়ে প্রচারিত কোনো একটি সংবাদও মিস করে না এমন অগণিত দর্শক পাওয়া যাবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ছোট এই দেশে। ধোনি, ভিরাট, সাঙ্গাকারা, মালিঙ্গা, আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, শেন ওয়ার্ন, মিচেল স্টার্ক, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসসহ আরও কত ক্রিকেটার যে আছে লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে তা হিসাব করা কঠিন। এরা তো এই যুগের, ক্রিকেটটাতো শত বছরের পুরোনো। শত বছর ধরেই এই ভালোবাসার, এই সমর্থন করার রীতি চলে আসছে…
কোন ক্রিকেটারের সমর্থক সবচেয়ে বেশি? কোন ক্রিকেটার সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়েছে কল্পনারও বাইরের? কোন ক্রিকেটারকে সে দেশের মানুষ ক্রিকেটারের থেকেও অনেক বেশি কিছু মনে করে?
উত্তরটা ভারতের শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।
শচীন কে? ভারতের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে শচীন কী? সারাবিশ্বের ক্রিকেট চেনে এমন মানুষদের মধ্যেই বা শচীন কী হিসেবে আছেন এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা এখন আর গুরুত্বপূর্ণ না। সবাই জানে এসব! যে প্রশ্নের উত্তর দেয়া যেতে পারে তা হচ্ছে, “আমি কেন শচীনকে নিয়ে লেখার সাহস করলাম?”
ছোট করে বলে নিচ্ছি, এটা একটি ইবুক। বই বলতে যা বুঝায় তেমন কোনো কিছুর অনলাইন সংস্করণও না, বড়জোর বলা যায় কিছু অনলাইন কন্টেন্টকে এক জায়গায় করে নিয়ে ইবুক নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া। তবে সেটা কেন শচীনকে নিয়েই?
গত মার্চে শচীনকে নিয়ে রোর বাংলায় একটা কন্টেন্ট লিখি, কাঁচা হাতের লেখা। তবে লিখতে গিয়ে তাকে নিয়ে আবারও পড়তে হয়, একটু ভালোভাবেই পড়তে হয়েছে। এর আগে একবার প্যাভিলিয়ন-রকমারির কল্যাণে পাওয়া শচীন টেন্ডুলকারের আত্মজীবনীটা পড়লেও এবার আবার চোখ বুলাতে গিয়ে অনেক কিছুই নতুন করে পড়তে হয়। আবিষ্কার করলাম শচীনকে নিয়ে ১০-১২ পর্বের কোনো সিরিজ লিখে ফেলা যায় একটু চেষ্টা করলেই।
এবার প্রশ্ন, “লিখব কোথায়?”
সত্য বলতে এই প্রশ্নটি মাথাতেই আসেনি। লম্বা কিছু লিখব যখন তখন ক্রিকেটখোরেই লেখব।
ক্রিকেটখোরের এডমিন মাহবুব এলাহী ভাইকে জানালাম। গ্রুপের একটি নিয়ম যে আমার এই সিরিজ লেখাটাকে আটকে দেবে সেটা মাথাতেই ছিলো না। মাহবুব ভাই যখন রিপ্লাই দিলেন “বেশি হাইলাইটেড করে না লেখলেও হবে, গ্রুপে দিতে হলে সামারাইজ করে দিও…” তখনও কিছু বুঝতে পারছিলাম না। আশ্চর্য, ভাই না কেন বললেন?
ভাইয়ের পরের দুটি রিপ্লাই দেখে মনে পড়লো প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই চলে আসা গ্রুপের সেই নিয়মটি। লেখার আগ্রহ তখনকার মতো সেখানেই শেষ!
সেপ্টেম্বর ২০২১; সাকিব মাহমুদ বললো, “চল, আমাদের পাঠগৃহ নেটওয়ার্ক থেকে ইবুক বানানো শুরু করি"। এর আগে “মাসিক ই-ম্যাগাজিন অদ্রিশিখর” নিয়েও কাজ করেছি আমরা।
সাহস ছিলো, সাকিব শুরু করলো, সেপ্টেম্বরেই প্রকাশ করলো “অতল গহ্বরে”। আমিও ভাবছিলাম কী করা যায়? শুরুতে অন্য একটা আইডিয়া আসলেও পরক্ষণেই মাথায় আসলো মার্চ মাসের সেই ভাবনাটা। ব্যাস, শুরু করে দিলাম।
সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু, ডিসেম্বরে প্রকাশ। তবে মাঝের এই পুরো সময় ধরে লিখিনি আবার। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার সাথে অলসতা; লেখাটা লিখেছি অল্প সময় নিয়েই। বিশেষ করে শেষের দিকের লেখাগুলো নিয়ে তাড়াহুড়ো করেছি খুব। এমনিতেই কোনো রকম লিখি, সেখানে তাড়াহুড়ো করে লেখা এই ইবুকের মান আর কেমনই বা হবে? তবুও ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে সামনে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা দিলে খুশি হবো।
পুরো বইয়ের সবগুলো লেখা আমার সাথে সাথে পড়েছে বন্ধু মো. রুমান মোড়ল। অনেক কিছুই ওরই ঠিক করে দেয়া। এর বাইরে আরও অনেককেই বিরক্ত করেছি, কার নাম বলতে গিয়ে কার নাম মিস করে যাই আবার; তাই আর কারো নাম আপাতত উল্লেখ করছি না। যারাই আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন, শুরু থেকে এপর্যন্ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, অনেক কিছুতেই সাহায্য করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা রইলো।
মোঃ রবিউল মোল্লা
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ২০২১
লেখক পরিচিতি
শেষের এই লেখাটুকু প্রকাশক লিখে থাকেন, এখানে আমরাই প্রকাশক। তাই আমিই না হয় লিখি।
আমি মোঃ রবিউল মোল্লা, জন্ম ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে ঢাকার দোহারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া দোহারেই, এরপর কেরানীগঞ্জ। এসএসসির পর সুযোগ হয় ঢাকার নটর ডেম কলেজে পড়ার। সেখান থেকে এইচএসসি শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত আছি।
টিভি পর্দায় ক্রিকেট দেখতে, এদিক সেদিক থেকে ক্রিকেট সম্পর্কে জানতে ছোটবেলা থেকেই ভালোলাগে। খেলা দেখার এই ভালোলাগাটা বড় ভাইয়ের থেকে পাওয়া। তবে ক্রিকেট নিয়ে লেখার শুরুটা হয়েছে অনেক পরে। ২০১৮ সালের আগস্টে সাব্বির আবদুল্লাহ ভাইয়ের কথায় একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা একটি লেখা ক্রিকেটখোর গ্রুপে করার মাধ্যমেই মূলত লেখালেখির শুরুটা। সেই থেকে সাব্বির ভাইয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটখোর গ্রুপের কয়েকজন লেখক এবং এডমিনদের থেকেই ক্রিকেট বিষয়ক লেখালেখি শেখার শুরু, এখনও সেই শুরুর পর্যায়েই আছি বলে মনে করি।
২০২০ এর জানুয়ারিতে সাকিব মাহমুদের সাথে প্রতিষ্ঠা করি এই পাঠগৃহ নেটওয়ার্ক। এই মুহূর্তে পাঠগৃহ নেটওয়ার্কের সিইও হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।